পল্লী সমাজ উপন্যাসের সমালোচনা
পল্লী সমাজ
লেখকঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
প্রথম প্রকাশঃ ১৯১৬
সংস্করণঃ ২০০৯
প্রকাশকঃ তিশা বুক ট্রেড
পৃষ্ঠাঃ ৬৬
মূল্যঃ ৭০ ৳
উপনিবেশিক শৃঙ্খলাবদ্ধ ভারতবর্ষের ক্ষয়িষ্ণু সমাজের আর্তনাদকে অন্তরে ধারণ করে পীড়িত বঞ্চিতদের ব্যাথার গল্প নিয়ে বাংলা সাহিত্যে আগমন করেন কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮)। বাঙ্গালীর পারিবারিক জীবনের নানা টানাপোড়নের পাশাপাশি সামাজিক ও জাতীয় জীবনের সংকটকে তুলে এনেছেন তার লেখায়। এরই প্রেক্ষিতে উপনিবেশ শৃঙ্খলিত বাংলার পল্লী সমাজের অনাচার ও ক্ষুদ্র রাজনীতির পটভূমিকায় রচনা করেছেন “পল্লী সমাজ” (১৯১৬) উপন্যাসটি। প্রথম প্রকাশিত হয় ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় ১৯১৫ সালে। উপন্যাসে সকল অনাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে রমেশদের সচেতন দ্রোহ ও বিপ্লবের মাধ্যমে শরৎচন্দ্র উত্তরণের উপায় নির্দেশ করেছেন। ফলে ঐ সময়ে উপন্যাসটি সাড়া ফেলে। সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হলে, ঐ সময়ে আন্দোলনের ইশতেহাররূপে কর্মীদের মাঝে হাতে লিখিত প্রচারিত হয়।
জমিদারদের নিষ্ঠুর দ্বন্দের মধ্যে পরে অসহায় প্রজাদের চিরকালের হাহাকার ধ্বনিত হয়েছে পল্লী সমাজ উপন্যাসে। এই ফ্রেমে উপন্যাসের কাহিনী ধারায় বর্ণিত হয়েছে- বাংলার পল্লীজীবনের নীচতা ও ক্ষুদ্র রাজনীতির পটভূমিকায় এক আদর্শ যুবক-যুবতীর সম্পর্ক ও বিশেষ করে তাদের অভিশপ্ত প্রেমকাহিনী। এখানে এসেছে মহাজন ও জমিদার শ্রেণির স্বার্থান্বেষী চরিত্র। আগুনের শেষ,ঋণের শেষ ও শত্রুর শেষ রাখতে নেই- এ চিন্তাধারার মধ্যে পড়ে যায় প্রগতিশীল সকল আবেগ ও কার্যকলাপও তাতে নষ্ট হয় সমাজ বাধাগ্রস্থ হয় সমাজ সচেতনতা। তবু রমেশরা থেমে থাকে না। তারা আছে বলেই এসব উপন্যাসের নাম জয়ী কক্ষ। সেই আলোকেই আমরা বাস্তবজীবনের স্বপ্ন দেখি। সমাজে এতসব ঘুনেধরা অনিয়ম তার সাথে প্রেমতে একই ফ্রেমে নিয়ে শরৎচন্দ্র পল্লী সমাজ নামক এক নিখুত স্কেচ এঁকেছেন।
পরিশেষে বলা যায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় শুধু নারীর স্নেহশীলতা ও মানবিক হৃদয়াবেগের রূপকার নন, সামাজিক তথা জাতীয় অনাচার ও সংকটেরও সার্থক রূপকার। আর এ সংকটকে শুধু বর্ণনাদাতাই নন, সংকট নিরসন চেষ্টার উপায় নির্দেশকও বটে।
লেখকঃ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
প্রথম প্রকাশঃ ১৯১৬
সংস্করণঃ ২০০৯
প্রকাশকঃ তিশা বুক ট্রেড
পৃষ্ঠাঃ ৬৬
মূল্যঃ ৭০ ৳
উপনিবেশিক শৃঙ্খলাবদ্ধ ভারতবর্ষের ক্ষয়িষ্ণু সমাজের আর্তনাদকে অন্তরে ধারণ করে পীড়িত বঞ্চিতদের ব্যাথার গল্প নিয়ে বাংলা সাহিত্যে আগমন করেন কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮)। বাঙ্গালীর পারিবারিক জীবনের নানা টানাপোড়নের পাশাপাশি সামাজিক ও জাতীয় জীবনের সংকটকে তুলে এনেছেন তার লেখায়। এরই প্রেক্ষিতে উপনিবেশ শৃঙ্খলিত বাংলার পল্লী সমাজের অনাচার ও ক্ষুদ্র রাজনীতির পটভূমিকায় রচনা করেছেন “পল্লী সমাজ” (১৯১৬) উপন্যাসটি। প্রথম প্রকাশিত হয় ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় ১৯১৫ সালে। উপন্যাসে সকল অনাচার ও অবিচারের বিরুদ্ধে রমেশদের সচেতন দ্রোহ ও বিপ্লবের মাধ্যমে শরৎচন্দ্র উত্তরণের উপায় নির্দেশ করেছেন। ফলে ঐ সময়ে উপন্যাসটি সাড়া ফেলে। সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হলে, ঐ সময়ে আন্দোলনের ইশতেহাররূপে কর্মীদের মাঝে হাতে লিখিত প্রচারিত হয়।
জমিদারদের নিষ্ঠুর দ্বন্দের মধ্যে পরে অসহায় প্রজাদের চিরকালের হাহাকার ধ্বনিত হয়েছে পল্লী সমাজ উপন্যাসে। এই ফ্রেমে উপন্যাসের কাহিনী ধারায় বর্ণিত হয়েছে- বাংলার পল্লীজীবনের নীচতা ও ক্ষুদ্র রাজনীতির পটভূমিকায় এক আদর্শ যুবক-যুবতীর সম্পর্ক ও বিশেষ করে তাদের অভিশপ্ত প্রেমকাহিনী। এখানে এসেছে মহাজন ও জমিদার শ্রেণির স্বার্থান্বেষী চরিত্র। আগুনের শেষ,ঋণের শেষ ও শত্রুর শেষ রাখতে নেই- এ চিন্তাধারার মধ্যে পড়ে যায় প্রগতিশীল সকল আবেগ ও কার্যকলাপও তাতে নষ্ট হয় সমাজ বাধাগ্রস্থ হয় সমাজ সচেতনতা। তবু রমেশরা থেমে থাকে না। তারা আছে বলেই এসব উপন্যাসের নাম জয়ী কক্ষ। সেই আলোকেই আমরা বাস্তবজীবনের স্বপ্ন দেখি। সমাজে এতসব ঘুনেধরা অনিয়ম তার সাথে প্রেমতে একই ফ্রেমে নিয়ে শরৎচন্দ্র পল্লী সমাজ নামক এক নিখুত স্কেচ এঁকেছেন।
পরিশেষে বলা যায় শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় শুধু নারীর স্নেহশীলতা ও মানবিক হৃদয়াবেগের রূপকার নন, সামাজিক তথা জাতীয় অনাচার ও সংকটেরও সার্থক রূপকার। আর এ সংকটকে শুধু বর্ণনাদাতাই নন, সংকট নিরসন চেষ্টার উপায় নির্দেশকও বটে।
খুব ভালো লাগলো আপনার এই লেখাটা পড়ে 😀😀🙏🙏🙏
উত্তরমুছুন